![]() |
Picture source: Wikimedia Commons |
গলব্লাডারের কোলেস্টেরোসিস
কোলেস্টেরোসিস (Cholesterosis) হল গলব্লাডারের একটি সমস্যা বা রোগ। এটিতে গলব্লাডারের দেওয়ালে কোলেস্টেরল জমা হয়, যার ফলে কোলেস্টেরল ক্রিস্টাল নামে ছোট, হলুদ-সাদা নোডুলস তৈরি হয়।
এই অবস্থাটি সাধারণত উপসর্গহীন এবং প্রায়শই নির্ণয় করা যায় না। তবে এটি পিত্তথলির পাথর, প্রদাহ এবং সংক্রমণের মতো অন্যান্য জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
কোলেস্টেরোসিস কাদের হয়
কোলেস্টেরোসিস সাধারণত ৪০ বছরের বেশি বয়সী মহিলাদের মধ্যে দেখা যায়। এছাড়াও যাদের ওজন বেশি বা যাদের খাবারে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকে তাদের ক্ষেত্রে এই রোগটি দেখা যায়।
কারণ রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল গলব্লাডারে জমা হতে পারে যা অবশেষে পিত্তথলির পাথর তৈরী করতে পারে।
কোলেস্টেরোসিস নির্ণয়
গলব্লাডারের কোলেস্টেরোসিসের নির্ণয় সাধারণত একটি নিয়মিত আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষার মাধ্যমে করা হয়। আল্ট্রাসাউন্ডে কোলেস্টেরল ক্রিস্টালগুলির বৈশিষ্ট্য অন্যান্য রোগ বা অবস্থা থেকে আলাদা করতে পারে ও চিহ্নিত করতে পারে।
সচেতনতা ও চিকিৎসা
গলব্লাডারের কোলেস্টেরোসিস এড়াতে সর্বপ্রথম জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন আনা জরুরী যেমন ওজন কমানো, কোলেস্টেরল কম থাকা স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা।
কিছু ক্ষেত্রে, ডাক্তারের নির্দেশ অনুসারে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করার জন্য ওষুধ নির্ধারিত হতে পারে। গুরুতর ক্ষেত্রে, গলব্লাডার অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
মনে রাখবেন
কোলেস্টেরোসিস গলব্লাডারের দেওয়ালে কোলেস্টেরল জমা হওয়ার কারণে ঘটে। এই অবস্থাটি সাধারণত উপসর্গবিহীন। জীবনধারার পরিবর্তন এবং ওষুধের মাধ্যমে এটির চিকিত্সা করা যেতে পারে। তবে গুরুতর ক্ষেত্রে, অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
0 মন্তব্যসমূহ