H2

গ্যাস্ট্রিক ইরোসন (ক্ষয়) বা ইরোসিভ গ্যাস্ট্রাইটিস কি? Gastric erosion in bangla

গ্যাস্ট্রিক_ইরোসন_কি
Picture source : msdmanuals.com


গ্যাস্ট্রিক ইরোসন বা ইরোসিভ গ্যাস্ট্রাইটিস


অনেক সময় আমরা পেটে জ্বালা, বমি বমি ভাব বা পায়খানার সাথে রক্ত আসার মত জটিল সমস্যায় ভুগে থাকি। আর তার কারণে আমরা ডাক্তারের ক্লিনিকে ছুটে যাই। ডাক্তার প্রথমেই আমাদের মেডিকেল চেকআপ, বিশেষ করে এন্ডোসকপি করার জন্য বলে থাকেন।


এর মূল কারণ হলো গ্যাস্ট্রিক ইরোসন বা পাকস্থলীর ক্ষয়জনিত সমস্যা। এছাড়াও আরো অন্যান্য সমস্যা থাকতে পারে। যেহেতু আজকের আলোচ্য বিষয় গ্যাস্ট্রিক ইরোসন বা ইরোসিভ গ্যাস্ট্রাইটিস তাই এটি সম্বন্ধেই জানার চেষ্টা করব।



গ্যাস্ট্রিক ইরোসন কি?


মানুষের পেটের ভেতর অর্থাৎ স্টমাকের ওপরে একটি নরম এবং সূক্ষ্ম আবরণী অর্থাৎ চামড়া থাকে। সেটি যখন ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে বা অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন ইরোসন বা ক্ষয়জনিত সমস্যার সৃষ্টি হয়।


এই চামড়ার ক্ষয়জনিত সমস্যা দেখতে লালচে রঙের হয়ে থাকে। অনেক সময় এই ক্ষয় থেকে রক্ত বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। আরো ভালোভাবে বলতে গেলে এটি গ্যাস্ট্রিক আলসার বা ঘা হওয়ার ঠিক আগের মুহূর্ত। অর্থাৎ এর পরেই পেটের ঘা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।



কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় :  


এন্ডোস্কোপির প্রয়োজনীয়তা, খরচ, সময় ও অন্যান্য বিষয়ে জানুন


মাথার সিটি স্ক্যান এর প্রয়োজনীয়তা


লিভার ফাংশন টেস্ট এর প্রয়োজনীয়তা, খরচ এবং অন্যান্য বিষয়


সিটি স্ক্যান এবং এমআরআই এর পার্থক্য


পি ই টি স্ক্যান করার প্রয়োজন, পদ্ধতি, খরচ, সময় এবং অন্যান্য



গ্যাস্ট্রিক ইরোসন এর কারণ


গ্যাস্ট্রিক ইরোসন বা পাকস্থলীজনিত ক্ষয় হওয়ার পেছনে বিশেষ কিছু কারণ দেখা যায়, যেমন:


বিশেষ কিছু ওষুধ (মেডিসিন) নিয়মিত সেবনের ফলে 

মানসিক চাপ

মদ্যপান

অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন ইত্যাদি



পাকস্থলীর ক্ষয় এর লক্ষণ


প্রায়শই এই ধরনের সমস্যায় তেমন কিছু লক্ষণ দেখা দেয় না। তবে যাদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা বেশ গুরুতর অবস্থায় চলে গেছে, তাদের ক্ষেত্রে কিছু কিছু লক্ষণ দেখা দেয়, যেমন:


বমি বমি ভাব

শারীরিক অস্বস্তি

ঘুম ঠিক করে না হওয়া

পেটে অসহ্য জ্বালা বা যন্ত্রণা

খুব কম ক্ষেত্রে দেখা যায় পায়খানার সাথে রক্তক্ষরণ, ইত্যাদি 



কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় :













রোগটি পরীক্ষার উপায়


গ্যাস্ট্রিক ইরোসন বা ক্ষয়ের সমস্যা নির্ধারণ করার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা করা যেতে পারে, যেমন আল্ট্রাসাউন্ড, সিটি স্ক্যান, এমআরআই। তবে সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা নেয় এন্ডোস্কোপি পরীক্ষাটি।


এটি খুব নিখুঁত এবং সরাসরি একটি পরীক্ষার মাধ্যম। যার মাধ্যমে খুব সহজে এই ধরনের সমস্যা চিহ্নিত করা যায় এবং উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়। বিশেষ পরিস্থিতিতে এন্ডোসকপির সময়েই বায়োপসি পরীক্ষা করে দেখা হয় রোগের বিস্তার (ক্যান্সার এর সম্ভাবনা রয়েছে কিনা) কতটা।


রোগ মুক্তির উপায়


বিশেষ কিছু উপায় অবলম্বন করলে এই রোগ হওয়া আটকানো সম্ভব বা রোগটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, যেমন:

ভাজা, মসলাদার, চর্বিযুক্ত এবং এসিটিক খাবার এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে ফাস্টফুড কে না বলুন।

সারা দিনে অল্প অল্প করে খাওয়ার চেষ্টা করুন, একবারে না খেয়ে।

যতটা পারবেন চিন্তা মুক্ত থাকার অভ্যাস করুন। 

মদ্যপান এড়িয়ে চলার জন্য সচেষ্ট হন।

খাওয়ার অন্তত দু থেকে তিন ঘন্টা পর শুতে যান।


যদি আজকের আলোচনা (গ্যাস্ট্রিক ইরোসন (ক্ষয়) কি? Gastric erosion bangla) থেকে আপনার কিছুমাত্র উপকার হয় তবে অবশ্যই প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমরা এখন ইউটিউবে আছি, সার্চ করুন SACHETAN JIBAN
 

বি: দ্রঃ এই লেখাটি কেবল সাস্থ্য সুরক্ষা ও সচেততামূলক তথ্য সরবরাহ করে মাত্র। এটি কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসার মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা বিশেষজ্ঞ বা আপনার নিজস্ব চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

H2