Picture source: commons.wikimedia.org |
এমআরআই এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
জটিল জীবনে জটিল রোগের শেষ নেই। তাই রোগের সঠিকভাবে সনাক্ত করার জন্য সঠিক পরীক্ষা নিরীক্ষার গুরুত্ব আজকের দিনে অনেক বেশি। তাই সঠিক পরীক্ষার মধ্যে যে পরীক্ষাটি খুব জনপ্রিয় এবং প্রয়োজনীয় সেটি হল এমআরআই স্ক্যান বা পরীক্ষা।
এই এমআরআই স্ক্যান সম্পর্কে আমাদের পরিষ্কার ধারণা থাকাটা বাধ্যতামূলক। অনেকেই মনে করেন এমআরআই পরীক্ষায় অনেক রকমের (সাইড ইফেক্ট) পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। সত্যিই কি এই পরীক্ষার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া (Side effects) আছে? আর যদি থাকে তবে সেটা কতটা ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে? চলুন আজকে সবটুকু জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি।
এমআরআই পরীক্ষা
এমআরআই একটি উন্নত এবং জটিল পদ্ধতির পরীক্ষা। তাই এটি যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ এবং খরচ সাপেক্ষ। পরীক্ষাটি একটি নির্দিষ্ট ঘরে, একটি নির্দিষ্ট যন্ত্রের ওপর রোগীকে শুইয়ে করা হয়ে থাকে।
পরীক্ষাটি যে ঘরে হয় তার ঠিক উল্টো দিকের ঘরে একজন টেকনোলজিস্ট থাকেন। তিনি পরীক্ষাটি করেন। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে অত্যাধিক শব্দ হওয়ার কারণে কানে হেডফোন দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় :
এন্ডোস্কোপির প্রয়োজনীয়তা, খরচ, সময় ও অন্যান্য বিষয়ে জানুন
মাথার সিটি স্ক্যান এর প্রয়োজনীয়তা
লিভার ফাংশন টেস্ট এর প্রয়োজনীয়তা, খরচ এবং অন্যান্য বিষয়
সিটি স্ক্যান এবং এমআরআই এর পার্থক্য
পি ই টি স্ক্যান করার প্রয়োজন, পদ্ধতি, খরচ, সময় এবং অন্যান্য
পরীক্ষাটি যারা করতে পারবেন না
পরীক্ষাটি প্রায় সবার পক্ষেই করা সম্ভব। তবে কিছু কিছু মানুষ এই পরীক্ষাটি করতে সমর্থ হন না, যেমন :
যদি রোগীর কোন অপারেশন (Operation) হয়ে থাকে এবং মেটালিক ক্লিপস অর্থাৎ ধাতুর বস্তু শরীরে লাগানো থাকে।
যদি রোগীর শরীরে পেসমেকার লাগানো থাকে।
যদি রোগী প্রেগন্যান্ট অর্থাৎ গর্ভবতী হয়ে থাকেন।
যদি রোগীর শরীরে কোন রকমের এলার্জির সমস্যা থেকে থাকে।
যদি রোগীর অন্ধকার ঘরে বা একা ঘরে থাকতে অসুবিধা হয়ে থাকে বা ভয় থেকে থাকে।
এমআরআই পরীক্ষার সাইড এফেক্ট
যদিও পরীক্ষাটিতে কোন রেডিয়েশন (Radiation) এর ব্যবহার হয় না। তবুও পরীক্ষাটিতে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অর্থাৎ সাইড এফেক্ট (Side effects) রয়েছে, যেমন :
এতে ব্যবহার করা কনট্রাস্ট ডাই (একটি বিশেষ ধরনের তরল যা শরীরে প্রবেশ করানো হয় নির্দিষ্ট কোন অঙ্গ কে সঠিকভাবে এবং স্পষ্টভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য) এর মাধ্যমে শরীরে এলার্জির সৃষ্টি হতে পারে। আর যদি কোন রোগীর এলার্জির সমস্যা ইতিমধ্যে থেকে থাকে, তবে এই কন্ট্রাস্টের জন্য সমস্যা বাড়তে পারে।
পরীক্ষাটি প্রেগন্যান্ট অর্থাৎ গর্ভবতী মহিলার করা হলে গর্ভের শিশুর ক্ষতি হতে পারে বা গর্ভকালীন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শরীরে যদি কোন ধাতুর বস্তু (যেমন ঘড়ি, আংটি, সুঁচ, পয়সা, মোবাইল ও অন্যান্য যে কোন ধরনের ধাতুর বস্তু) থেকে থাকে তবে যন্ত্রটির ক্ষতি হতে পারে, পরীক্ষাটি সঠিকভাবে সম্পন্ন হবে না এবং রোগীর শারীরিক ক্ষতি হওয়ায় সম্ভাবনা থাকে।
অনেক সময় ধরে একটি বন্ধ ঘরে আটকানো থাকলে কিছু কিছু মানুষের ভয় বা আতঙ্কের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
0 মন্তব্যসমূহ