H2

Sponsors

বীর্য কিভাবে এবং কি কি উপাদান দিয়ে তৈরি হয় ?

বীর্য-কিভাবে-এবং-কি-কি-উপাদান-দিয়ে-তৈরি-হয়


বীর্য কিভাবে তৈরি


সুস্বাস্থ্য ও বৈবাহিক জীবনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বীর্যের সঠিক উৎপাদন এবং তার যথাযথ ব্যবহার। তাই জেনে রাখার প্রয়োজন যে বীর্য কি উপাদান দিয়ে এবং কিভাবে তৈরি হয় 

সবটা জানার আগে গঠনগত দিক সম্পর্কে আমাদের একটু ধারণা থাকা দরকার। যেমন সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি যেখানে যেখানে হয় সেগুলি হল টেস্টিস, এপিডিডাইমিস, সেমিনাল ভেসিকেলস, প্রস্টেট এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গ।

খুব সহজভাবে বললে টেস্টিসের মধ্যে স্পার্ম তৈরি হয় আর সেই স্পার্ম এপিডিডাইমিস অর্থাৎ টেস্টিসের সঙ্গে লাগোয়া উপরিভাগে একটি ছোট গোলাকার অঙ্গের মধ্যে জমা হয়।

অপরদিকে শরীরের ভেতরের অঙ্গ গুলো অর্থাৎ সেমিনাল ভেসিকেলস এবং প্রস্টেট এই দুটি অঙ্গে ফ্লুইড অর্থাৎ জলীয় পদার্থ তৈরি হয়।

এবারে এপিডিডাইমিস থেকে স্পার্ম নির্গত হয়ে সেমিনাল ভেসিকেলসে গিয়ে পৌঁছায়। অপরদিকে সেমিনাল ভেসিকেলস এবং প্রোস্টেট এর মধ্যে থাকা জলীয় পদার্থ একসাথে মিলিত হয়।

এই স্পার্ম এবং জলীয় পদার্থের মিলিত রূপকে বীর্য বলে।

তাহলে আশা করি বীর্য কি উপাদান দিয়ে এবং কিভাবে তৈরি হয় সেই সম্বন্ধীয় সমস্ত ডাউট ক্লিয়ার হয়ে গেছে। তবে এই বিষয়ের উপরে আরও অনেক, অনেক তথ্য রয়েছে যেগুলো আপনার জানা খুবই প্রয়োজন।

আসলে যেগুলো না জানলে কোন ভাবেই আপনার তথ্যভান্ডার সম্পন্ন হবে না। তাই আরো কয়েকটি বিশেষ প্রয়োজনীয় বিষয়ের উপরে চলুন এবার আলোকপাত করে দেখি।




 

বীর্যের মধ্যে কি কি থাকে ?


এবার জানবো বীর্যের মধ্যে কি কি থাকে অর্থাৎ বীর্য কি উপাদান দিয়ে তৈরি হয়।

বীর্যের মধ্যে স্পার্ম থাকে 10% আর বাকিটা থাকে বিভিন্ন জরুরী নিউট্রিশন। তবে এই 10% ধরে নিয়ে এটা ভেবে নেবেন না যে এটির সংখ্যা নিতান্তই কম। আসলে এটির সংখ্যা বিপুল।

এটা ছাড়াও আর যে সমস্ত জরুরি নিউট্রিয়েন্টস গুলো থাকে সেগুলি সেমিনাল ভেসিকেল থেকে যে ফ্লুইড তৈরি হয় তাতে থাকে ভিটামিন সি, সাইট্রিক এসিড, ফ্রুক্টোজ, প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন এবং আরো অন্যান্য। অপরদিকে প্রস্টেট থেকে যে ফ্লুইড তৈরি হয় তাতে থাকে গ্লুকোজ, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিংক এবং আরো অন্যান্য জরুরী নিউট্রিয়েন্টস।
 

আরো কিছু


প্রতিবার বীর্যপাতের সময় দুই থেকে ছয় মিলিলিটার বীর্য আমাদের শরীর থেকে নির্গত হয়।
 
এক মিলিলিটার বীর্যের মধ্যে 50 থেকে 100 মিলিয়ন স্পার্ম থাকে। অর্থাৎ সম্পূর্ণ বীর্যের মধ্যে কোটি কোটি স্পার্ম থাকে। 

স্পার্মের গণনার ক্ষেত্রে যদি 20 মিলিয়নের কম হয়ে থাকে প্রতি মিলিলিটার বীর্যের মধ্যে তবে জন্মদানের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়। 

সেমিনাল ভেসিকেল থেকে যে ফ্লুইড নির্গত হয় তার রঙ সাদাটে এবং প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড থেকে যে ফ্লুইড বা জলীয় পদার্থ নির্গত হয় তার রঙ স্বচ্ছ

বীর্যের মধ্যে প্রায় 70% ফ্লুইড থাকে অর্থাৎ জলীয় পদার্থ থাকে।
 
বীর্য যখন শরীর থেকে নির্গত হয় তখন সেই পদ্ধতিকে বলে বীর্জপাত। ইজাকুলেটর ডাক্ট এর সাহায্যে ইউরেথ্রা হয়ে বীর্যপাত হয়ে থাকে।







 

যদি আজকের আলোচনা (বীর্য কি উপাদান দিয়ে এবং কিভাবে তৈরি হয়) থেকে আপনার কিছুমাত্র উপকার হয় তবে অবশ্যই প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমরা এখন ইউটিউবে আছি, সার্চ করুন SACHETAN JIBAN


এছাড়াও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতেও সচেতন জীবনকে পেয়ে যাবেন আপনার সুস্বাস্থ্য ও সচেতনতার প্রয়োজনে। সুস্থ থাকুন, সচেতন থাকুন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

H2